ইরানে প্রতি সপ্তাহে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ১০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি
https://parstoday.ir/bn/news/world-i153164-ইরানে_প্রতি_সপ্তাহে_নবায়নযোগ্য_জ্বালানি_উৎপাদন_১০০_মেগাওয়াট_বৃদ্ধি
পার্সটুডে: ইরানের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতাবিষয়ক সংস্থার (এসটিবিএ) একজন উপ-প্রধান জানিয়েছে, দেশটির বিদ্যুৎ গ্রিডে প্রতি সপ্তাহে ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে।
(last modified 2025-10-18T14:57:34+00:00 )
অক্টোবর ১৮, ২০২৫ ১৮:০৯ Asia/Dhaka
  • ইরানে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১০০ মেগাওয়াট নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন হচ্ছে
    ইরানে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১০০ মেগাওয়াট নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন হচ্ছে

পার্সটুডে: ইরানের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতাবিষয়ক সংস্থার (এসটিবিএ) একজন উপ-প্রধান জানিয়েছে, দেশটির বিদ্যুৎ গ্রিডে প্রতি সপ্তাহে ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে।

এসটিবিএ'র উপ-প্রধান 'আলিরেজা পারান্দেহ মোতলাক' গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইরানের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা ২,৩০০ মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশিই সৌরচালিত কেন্দ্র থেকে আসে এবং ৩৭০ মেগাওয়াটের বেশি বায়ু শক্তি কেন্দ্র থেকে আসে, যা দেশের জন্য নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

পারান্দেহ মোতলাক আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে নতুন নবায়নযোগ্য শক্তি কেন্দ্র থেকে ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। কিছু কেন্দ্র মাত্র পাঁচ মাসেরও কম সময়ে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতায় নির্মাণ ও স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

ইরানের বিদ্যুৎ উপ-মন্ত্রী মোহসেন তাজতালাব আগস্ট মাসে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ৭,০০০ মেগাওয়াটে বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

ভারতের আদিলাবাদে বাঁশ চাষের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন

পরিবেশ পুনরুদ্ধার এবং আদিলাবাদ অঞ্চলের কোলাম উপজাতির মানুষের ঐতিহ্যবাহী জীবিকায়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে, গ্রীন ইন্ডিয়া চ্যালেঞ্জ (জিআইসি) - যা একটি জাতি-ব্যাপী পরিবেশগত আন্দোলন- শনিবার মুল্লাগুত্তা ২ গ্রামে একটি পাইলট বাঁশ চাষ প্রকল্প শুরু করেছে।

ক্যাস্পিয়ান সাগরের জলস্তর ও জীববৈচিত্র্যে উদ্বেগজনক হ্রাস 

কাজাখস্তানের স্থানীয় সম্প্রদায় ও পরিবেশকর্মীরা গত এক দশকে ক্যাস্পিয়ান সাগরের জলস্তরের উদ্বেগজনক পতন, জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক হ্রাস এবং দূষণের বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা এই সংকটের কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, ভোলগা নদীতে বাঁধ নির্মাণ, আঞ্চলিক শক্তি উত্তোলন এবং সমুদ্রপথে ভারী যানবাহন চলাচলকে দায়ী করেছেন।

'সেভ দ্য ক্যাস্পিয়ান সি' আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ভাদিম নি বলেছেন, “কাস্পিয়ান সাগরের প্রায় ৮০ শতাংশ পানি আসে ভলগা নদী থেকে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া এবং নদীর প্রবাহে বাঁধ নির্মাণের ফলে এখন পর্যাপ্ত পানি সাগরে পৌঁছায় না—এটাই পানির স্তর হ্রাসের মূল কারণ।”

তিনি আরও যোগ করেন, কাস্পিয়ান সাগরে সীল (ফক) মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তিন বছর আগে কাজাখস্তানের উপকূলে প্রায় ২,০০০ মৃত সীল পাওয়া গিয়েছিল, আর রাশিয়ার অংশে তীরে ভেসে আসে আরও ২,৫০০টি। বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও একইভাবে এই পরিবর্তনের শিকার হচ্ছে।

গরুর মাংস খাওয়া ও আমাজন বন উজাড়ের মধ্যে জটিল সম্পর্ক

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নতুন গবেষণা অনুসারে, বিশ্বের বৃহত্তম মাংস প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানি জেবিএস অবৈধভাবে বন উজাড় হওয়া এলাকায় পরিচালিত খামার থেকে গরু সংগ্রহ করছে—যার ফলে ব্রাজিলের আমাজন অরণ্যে বন ধ্বংস, ভূমি দখল এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ বাড়ছে।

বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তটি ব্রাজিলের পারা অঙ্গরাজ্যকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে—যেখানে আগামী মাসে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন (COP30) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেবিএস কোম্পানি তার পরোক্ষ গরু সরবরাহকারীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে না। ফলে অবৈধভাবে বন উজাড় করা এলাকায় পালিত গরুগুলো এক ধরনের 'পশু পাচার' ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন খামার ঘুরে কোম্পানির কাছে পৌঁছায়, যাতে তাদের প্রকৃত উৎস গোপন থাকে।

উল্লেখ্য, পশুপালন ও কৃষিজমি সম্প্রসারণ বিশেষত গরুর মাংস উৎপাদনের জন্য জমি প্রস্তুত করা- বিশ্বের উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে বন ধ্বংসের প্রধান সরাসরি কারণ হিসেবে বিবেচিত।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।