Pars Today
বাংলাদেশের শেরপুরে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ সড়ক ভেঙে গেছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় সাত জনের মৃত্যুর কথা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ (বুধবার) দুপুরে হুগলির পুরশুড়া ব্লকের একটি সেতুতে দাঁড়িয়ে বন্যা দেখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গোলেস্তান প্রদেশে একটি বৃহৎ কৃষি নিষ্কাশন প্রকল্প চালু করেছে। প্রকল্পটি এই অঞ্চলে কৃষি কার্যক্রম সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। পানিবন্দী রয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার। তবে, চট্টগ্রাম, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান বন্যায় ১১ জেলায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭ জন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ।
ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ১১ জেলায় ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় গত চার দিনে ২২ জন নিহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৪শ’ জন মানুষকে ৪৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ১১ জেলায় বন্যায় ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা বন্যা প্লাবিত হয়ে মারা গেছে ১৩ জন।
বাংলাদেশের আটটি জেলার ৫০ টি উপজেলার ৩৫৭ টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব জেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ পরিবার বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছেন। ফেনীর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বন্যার পানিতে ডুবে ২জন মারা গেছেন।