সারের জন্য ভোগান্তিতে কৃষক: জামালপুর ও বগুড়ায় সড়ক অবরোধ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i112990-সারের_জন্য_ভোগান্তিতে_কৃষক_জামালপুর_ও_বগুড়ায়_সড়ক_অবরোধ
বাংলাদেশের কৃষি পঞ্জিকা অনুযায়ী, জুলাইয়ের শুরু থেকে মধ্য-অক্টোবর পর্যন্ত আমন ধানের মৌসুম। আর এ ধানের চারা রোপণের সময় জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত। চারা রোপণকালীন অ-ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়। অ-ইউরিয়া সারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সার হচ্ছে এমওপি ও টিএসপি।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২ ১৭:৩৭ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের কৃষি পঞ্জিকা অনুযায়ী, জুলাইয়ের শুরু থেকে মধ্য-অক্টোবর পর্যন্ত আমন ধানের মৌসুম। আর এ ধানের চারা রোপণের সময় জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত। চারা রোপণকালীন অ-ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়। অ-ইউরিয়া সারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সার হচ্ছে এমওপি ও টিএসপি।

চলতি আমন মৌসুমে সার নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কৃষক। সরকারের বেঁধে দেয়া দামেও সার পাচ্ছে না কৃষক। ক্রেতাদের অভিযোগ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সারের পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও কৃষক পর্যন্ত সার পৌঁছাচ্ছে না। আবার সরবরাহ ঠিক থাকলেও বাড়তি দামে সার কিনতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে, জামালপুর ও বগুড়ায় সারের দাবিতে সড়ক অবরোধ হয়েছে।

ডিলারদের দাবি, বিএডিসির গোডাউন থেকেও চাহিদামাফিক সার পাচ্ছেন না। বিশেষ করে এমওপি সার একেবারেই দেয়া হচ্ছে না।

তবে সার সংকটের বিষয়টি মানতে নারাজ কৃষি মন্ত্রণালয়। গতকাল বিকালে সচিবালয়ে ভার্চ্যুয়ালি ‘সার্বিক সার ও সেচ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভার সার নিয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম তিনি জানান দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে। গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

সভায় জেলা প্রশাসকগণ ও কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকবৃন্দ সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জানান, দেশে সার নিয়ে কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বাজারে সারের দাম বাড়ার বিষয়টি গুজব।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সার নিয়ে একেক এলাকায় একেক রকম কারসাজি হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে কিছুটা গুজবও কাজ করছে। সংকটের আশঙ্কায় কৃষক পরিচয়ে অনেকে সার কিনছেন। পরে বাড়তি দামে ওই সার আর এক জনের নিকট বিক্রি করছেন।

এদিকে বাজারে কৃত্রিম সার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী নিম্নমানের সার বাজারে বিক্রি করছেন। অনেকেই আবার পটাশ ও এমওপি সার তৈরি করে কৃষকের কাছে বিক্রি করছেন বলে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী জানতে পেরেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মজুতদারদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে মন্ত্রণালয়। জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে ডিলারদের।#

পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।