প্রবাসী আয় কমছে
ডলারের দামে অস্থিরতা: বাড়ছে হুন্ডি, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ কমছে
বিভিন্ন ছাড় দেয়ার পরও বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। অক্টোবর মাসের প্রথম ২৭ দিনে রেমিটেন্স এসেছে ১৩৬ কোটি ডলার। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫০ কোটি ডলার। এর আগে, গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিটেন্স এসেছিল সেপ্টেম্বরে, যার পরিমাণ ১৫৪ কোটি ডলার। এবার তার চেয়েও ৪ কোটি ডলার কম রেমিটেন্স আসছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম ২৭ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ডলার যা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের প্রবাস সংশ্লিষ্টরা।
আসলে রেমিটেন্সের একটি নেতিবাচক প্রবণতা আমরা গত অর্থবছরেই দেখেছি। আগের বছরের তুলনায় গত বছর রেমিটেন্স প্রায় ১৫ শতাংশ কমে গেছে। ফলে রেমিটেন্সের ওপর নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারিনি। এর কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের বাজারে ডলারের বিনিময় মূল্য নিয়ে অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়েই অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সের ওপরে।
এ প্রসঙ্গে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন 'বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান রেডিও তেহরানকে বলেন, মুদ্রা বিনিময় হারের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভারসাম্যহীনতা রেমিটেন্স কমার পেছনে একটা বড় কারণ। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, খোলাবাজারের তুলনায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে আসা রেমিটেন্সের বিপরীতে কম টাকা পাওয়া যাচ্ছে, আর এই কারণেই হয়তো দেশে প্রবাসীদের আয় এলেও তা বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্সের হিসাবে সরাসরি যোগ হচ্ছে না।
অপরদিকে, ব্র্যাক মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান মো: শরিফুল হাসান রেডিও তেহরানকে বলেন, রেমিটেন্স আয় এবং রফতানিখাতে উপার্জন নিয়ে উদ্বেগ এবং শঙ্কা বাড়তেই থাকবে যদি না এই দুটো ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমাদের অর্থনীতির দুটো বড় চালিকাশক্তি রেমিটেন্স এবং রফতানি খাত তার যে গতিপ্রকৃতি, তাতে বলা যায় আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটি বড় সঙ্কট চলছে।#
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/১