স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রধান অন্তরায় অগণতান্ত্রিক শাসন; যার বলি নাদিমের মতো সাংবাদিকরা
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i124500-স্বাধীন_গণমাধ্যমের_প্রধান_অন্তরায়_অগণতান্ত্রিক_শাসন_যার_বলি_নাদিমের_মতো_সাংবাদিকরা
আইনের শাসন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি সুস্থ গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের মূল ভিত্তি। বর্তমান বিশ্বকে ‘গণতান্ত্রিক বিশ্ব’ মনে করা হলেও গণতন্ত্রের পথচলা এখনো নির্বিঘ্ন নয়। এ ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে স্বাধীন মত প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা ও শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ১৬, ২০২৩ ১৭:৪১ Asia/Dhaka

আইনের শাসন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি সুস্থ গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের মূল ভিত্তি। বর্তমান বিশ্বকে ‘গণতান্ত্রিক বিশ্ব’ মনে করা হলেও গণতন্ত্রের পথচলা এখনো নির্বিঘ্ন নয়। এ ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে স্বাধীন মত প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা ও শৃঙ্খলিত গণমাধ্যম।

মূলত সত্যকে আড়াল ও মিথ্যাকে ভিত্তি করে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও উন্নয়ন মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে না। তাই এই অশুভ বৃত্ত থেকে বিশ্বকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।

এমন এক সময় আজ ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস পালিত হচ্ছে বাংলাদেশে। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বাকশাল সরকার ৪ টি সরকারি গণমাধ্যম রেখে বাকি সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। যে কারণে হাজারো সাংবাদিক রাতারাতি বেকার হয়ে দুঃসহ জীবনে পতিত হন। সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে ঐ দিনটিকে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেই ঘটনার এতবছর পরে ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও দেখা যাচ্ছে কেবল অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি নয়, বরং গণমাধ্যমকর্মীদের হত্যা, জেল ও নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে সত্য গোপন করার চেষ্টা এখন এক বৈশ্বিক প্রবণতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই মুদ্রাদোষ থেকে আমরাও মুক্ত থাকতে পারিনি।

সত্য সংবাদ প্রকাশের জেরে নির্মমভাবে ইটের আঘাতে থেতলে দেয়া শরীরের যন্ত্রণা নিয়ে মরতে হলো জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে। যখন বিশ্বের দেশে দেশে কর্তৃত্ববাদী সরকারের উত্থান স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার জন্য বড় বাধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ঠিক তখনো গণতন্ত্রের খোলসে বাংলাদেশের গণমাধ্যমও মুক্ত স্বাধীন নয় বলেই মন্তব্য করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সাল আর বর্তমান শাসনামলের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অগণতান্ত্রিক সরকারের কালো থাবায় সংবাদমাধ্যম পুরোপুরি শৃঙ্খলিত বলেও অভিযোগ করেন এই সাংবাদিক নেতা।

আর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান মনে করেন, সরকারের রক্তচক্ষুর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে। বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অকল্পনীয় হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জীবন ও জীবিকা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দল, মত, পথ নির্বিশেষে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন তিনি।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/১৬