বিএসএফের পুশইন করার চেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
ড. এ কে আবদুল মোমেনের সাথে বৈঠকে রীভা গাঙ্গুলি দাশ
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফেনী নদী সীমান্ত দিয়ে তাদের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করার যে চেষ্টা করেছে তাকে অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ আজ (বুধবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করতে হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি ভারত থেকে আমদানিকৃত মালামালসহ পেট্রোপোল সীমান্তে আটকে থাকা ট্রাকগুলো বাংলাদেশে দ্রুত প্রবেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান। আবদুল মোমেন বলেন, ট্রাকগুলো আটকে থাকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এসময় রেলপথে উভয় দেশের মালামাল পরিবহনের বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকদের সমস্যা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ভারত থেকে আসা ৬১ জন চালক ও তাদের সহযোগীকে মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাদের দ্রুত ভারতে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রীভা গাঙ্গুলি জানান, বাংলাদেশি ডাক্তারদের জন্য ভারত একটি ই-আইটিইসি কোর্সের আয়োজন করছে। এই কোর্সটি ১২-১৩ মে ২০২০ পর্যন্ত ভূবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস বাংলাভাষায় পরিচালিত করবে।
এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে করোনা চিকিৎসায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৫ হাজার হেড কাভার, ৫০ হাজার সার্জিক্যাল গ্লাভ্স এবং ১ লাখ হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়।
ভারতের হাইকমিশনার জানান, তাদের দেওয়া করোনা পরীক্ষার কিটগুলো ভারতের ‘মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড’ দ্বারা উৎপাদিত এবং কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত।
হাইকমিশনার জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ শনাক্তকরণ কিটপ্রাপ্ত প্রথম অংশীদার দেশ, যা এ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্ক নেতাদের নিয়ে এক ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।