ঘূর্ণিঝড় আম্পান: মোংলা ও পায়রা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i80038-ঘূর্ণিঝড়_আম্পান_মোংলা_ও_পায়রা_বন্দরে_১০_নম্বর_মহাবিপদ_সংকেত
ঘূর্ণিঝড় আম্পান বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে এগিয়ে আসার কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
মে ২০, ২০২০ ১২:৪৮ Asia/Dhaka
  • ঘূর্ণিঝড় আম্পান: মোংলা ও পায়রা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

ঘূর্ণিঝড় আম্পান বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে এগিয়ে আসার কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত।

আজ (বুধবার) সকাল ৯টায় বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সাড়ে তিন’শ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসেরও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদ্প্তর।

গতকাল আম্পানের বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়

এর আগে সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে,  ঘূর্ণিঝড়টি আজ (বুধবার) সকাল ছয়টায় মোংলা সমুদ্র থেকে ৩৯০ ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার অবস্থান করছিল। এটির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান আজ সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১৪০ থেকে ১৬০ মিটার বেগে ঝড়ো বাতাসসহ অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই খুলনা ও পার্শবর্তী জেলায় সারারাত টিপটিপ বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। আবার কালো মেঘের ফাঁকে এক ঝলক রোদের দেখাও মিলেছে। কম গতিতে দমকা বাতাস বইছে। তবে লোকজনের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার তেমন তোড়জোড় নেই।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।