বাংলাদেশে করোনার টিকা কার্যক্রম চলছে, জনমনে আগ্রহের পাশাপাশি রয়েছে শঙ্কাও
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ৫টি হাসপাতালে করোনা টিকাদান কার্যক্রম চলছে। গতকাল দিনের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। পরে মন্ত্রী পরিষদের প্রথম সদস্য হিসেবে টিকা নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক। এরপর বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান ও তথ্য সচিব খাজা মিয়া টিকা নেন।
এ টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেছেন, এটি নিরাপদ এবং সকলে এ টিকা গ্রহণ করলে এর উপকারিতা ভোগ করা যাবে। কিন্তু, বৈশ্বিক মহামারি ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়ায় এই টিকার প্রতিরোধ সক্ষমতার বিস্তারিত এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তাই ঠিক কতদিন এটি সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেবে সেটি বলা না গেলেও; সুরক্ষা বলয় যে তৈরি হবে, তাতে একমত বিজ্ঞানীরা।
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালের প্রফেসর ডাক্তার আহমেদুল কবির বলেছেন, টিকা নেয়ার পরপরই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় না। সময় লাগে অন্তত ৪ সপ্তাহ। তাই এসময়টাতে স্বাস্থ্যবিধি না মানার সুযোগ নেই।
এদিকে, সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ৮০ ভাগ জনগণকে পর্যায়ক্রমে করোনা টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। তাই সবাইকে এই কার্যক্রমে অংশ নেবার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে অন্যান্য দেশের মতই বাংলাদেশেও এই ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে জনগণের শংকার কথা উঠে আসছে। সাম্প্রতিক দুটি বেসরকারি জরিপ এ জানা গেছে, একটি নিরাপদ কার্যকর ভ্যাকসিন সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পেলে তা গ্রহণে জনগণের আগ্রহ আছে। তবে অর্থ, ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে কিছুটা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অহেতুক ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ তা গুরুতর কিছু নয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত সামান্যই।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।