করোনার ঝুঁকি নিয়েও ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ঢল, পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশে করোনাজনিত পরিস্থিতিতে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে ট্রেন, দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মায় ফেরি ঘাটের প্রবেশ পথে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা ঠেকাতে।
তিন দিন পর ঈদ-উল-ফিতর। এ অবস্থায় বেপরোয়া মানুষেরা যে যেমন করে পারছে ছুটছে নিজ গ্রামের দিকে স্বজনদের সাথে ঈদ পালন করতে।
এদিকে লঞ্চ ও ফেরি বন্ধ থাকায় সবচেয়ে ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা জানান, দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও লাশবাহী ও অ্যাম্বুলেন্সসহ কিছু ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। তবে যাত্রীরা ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠে পড়ছেন। কোনও বাধা নিষেধ মানছেন না তারা। অ্যাম্বুলেন্স ও লাশের গাড়ি ফেরিতে ওঠার আগেই যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পড়ছে। গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স নেওয়ার স্থান টুকু ফেরিতে থাকছে না।
ওদিকে, ঈদের কেনাকাটায় যেভাবে মার্কেটে বা শপিং সেন্টারে ভিড় হচ্ছে তাতে ঈদের পর করোনা সংক্রমণ এবং করোনায় মৃত্যুর হার বেড়ে যাবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকগণ।
টঙ্গীতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
অপরদিকে, ঈদযাত্রার আগেই বকেয়া বেতন পরিশোধ ও ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে পোশাক শ্রমিকরা আজ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
আজ (সোমবার) দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মেইল গেইট এলাকায় হামীম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা আধাঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
এতে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয় বলে দাবি করেন তারা।
পুলিশ জানায়, হা-মীম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ঈদ উপলক্ষ্যে ৬ দিনের ছুটির ঘোষণা করে। পরে ১০দিনের বর্ধিত ছুটি দাবি করে বিক্ষোভে নামে শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে দেয়।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।