টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় হার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ছয় উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এর ফলে গ্রুপ-১-এর প্রথম চার ম্যাচে কোনো ম্যাচে জয় না পেয়ে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। অন্যদিকে হার দিয়ে সুপার টুয়েলভ শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা টানা তিন জয় পেয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ (মঙ্গলবার) টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৯ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে শুরুতেই বড় ধাক্কা দিতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তাসকিন সেই চেষ্টাটা করেছেন দারুণভাবে। প্রথম ওভারেই দারুণ এক বলে রেজা হেনড্রিক্সকে (৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। খানিক বাদে কুইন্টন ডি কককে (১৬) শেখ মাহেদি সরাসরি বোল্ড করলে এবং এইডেন মার্করামকে তাসকিন দ্বিতীয় শিকার বানালে মনে হচ্ছিল কিছু হলেও হতে পারে। কিন্তু অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও ভ্যান ডার ডুসেন দারুণ একটা জুটি গড়ে সেই সম্ভবনা শেষ করে দিয়েছেন। ২৭ বলে ২২ রান করে ডুসেন আউট হলেও বাভুমা অপরাজিত ছিলেন। ১৩.৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ৮৬ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমা ২৮ বল খেলে ৩টি চার ১টি ছয়ে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাসকিন চার ওভারে ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন দুই উইকেট। বাকি দুই উইকেট নাসুম আর মেহেদির।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করলেও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি টাইগার ওপেনার নাঈম শেখ। রাবাদার বলে হেনড্রিকসের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ৯ রানে উইকেট হারান তিনি। পরের বলেই বিদায় নেন ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার। এলবিডব্লিউ হয়ে রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিমও রাবাদার তৃতীয় শিকার হয়ে ডাক মেরে সাঝঘরে ফেরেন। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ব্যর্থ হন টাইগার অধিনায়ক। এনরিক নরকিয়ার শিকার হয়ে মাত্র ৩ রানে বিদায় নেন তিনি। পরের বলেই ব্যাট করতে নামা আফিফ প্রেটোরিয়াসের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাঝঘরে ফেরেন।
আফিফের ফেরার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ খেই হারিয়ে ফেলে। থিতু হয়ে ব্যাট করতে থাকা লিটন দাসও শেষ পর্যন্ত উইকেট হারান। শামসির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। প্রোটিয়া এ স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হন শামিম পাটোয়ারী। কেশভ মহারাজের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ১১ রান নিয়ে বিদায় নেন এ ব্যাটার।
শেষদিকে মেহেদিকে সঙ্গ নিয়ে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও ১৮তম ওভারে রান আউট হয়ে বিদায় নেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে নরকিয়ার বলে উইকেট হারান মেহেদি হাসানও। ১ ছয় ও ২ চারে ২৫ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে মুশফিক-আফিফদের মতো ডাক মেরে বিদায় নেন নাসুম আহমেদও। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার ১০ বল আগেই ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পান কাগিসো রাবাদা ও এনরিক নরকিয়া। বাংলাদেশের প্রথম তিন উইকেট শিকারি রাবাদা প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছেন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।