আমেরিকা থেকে ভারী এমকে-৮৪ বোমার চালান পেল ইসরাইল
https://parstoday.ir/bn/news/event-i147112
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ভারী এমকে-৮৪ বোমার একটি চালান পেয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। গাজার যখন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে তখন ওই চালানটি ইসরাইলে পৌঁছাল। স্থানীয় সময় রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫ ১৭:৩০ Asia/Dhaka
  • এমকে-৮৪ বোমা
    এমকে-৮৪ বোমা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ভারী এমকে-৮৪ বোমার একটি চালান পেয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। গাজার যখন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে তখন ওই চালানটি ইসরাইলে পৌঁছাল। স্থানীয় সময় রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ইসরাইলে বোমা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, "তারা অনেক আগে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে অস্ত্রগুলো কিনেছিল। কিন্তু বাইডেন সেগুলো সরবরাহ করেননি। তবে আমি এটি ভিন্নভাবে দেখি। আমি বলি, 'শক্তির মাধ্যমে শান্তি।'

তিনি বলেন, "এগুলো পড়ে ছিল। কেউ জানত না কী করতে হবে। তারা এগুলো কিনেছিল।"

এমকে-৮৪ একটি নির্দেশনাহীন দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা, যা পুরু কংক্রিট ও ধাতু ভেদ করতে সক্ষম এবং বড় ধরনের বিস্ফোরণ সৃষ্টি করতে পারে।

শনিবার রাতে ইহুদিবাদী সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, "ইসরাইলে পৌঁছানো এই অস্ত্রের চালানটি ট্রাম্প প্রশাসন ছেড়ে দিয়েছে। এটি বিমানবাহিনী এবং আইডিএফের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং এটি ইসরাইল ও আমেরিকার মধ্যে শক্তিশালী বন্ধুত্বের আরও একটি প্রমাণ।"

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজাযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন ইসরাইলের জন্য বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। তবে, বাইডেন প্রশাসন গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর ওপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসরাইলে বোমাটি রপ্তানির অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। বাইডেন প্রশাসন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর ইসরাইলে অনেক ২ হাজার পাউন্ড বোমা পাঠিয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে একটি চালান আটকানো হয়েছিল, যা গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ছেড়ে দেয়।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৭