শ্রোতাদের মতামত
‘করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে গোটা দুনিয়াকে তাক লগিয়ে দিয়েছে ইরান’
সালাম ও শুভেচ্ছা রইল। রেডিও তেহরান-এর অনুষ্ঠান থেকে জানতে পারলাম যে, বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ হিসেবে ইরান করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে গোটা দুনিয়াকে তাক লগিয়ে দিয়েছে! সত্যি সত্যিই আমরাও অবাক হয়েছি বৈকি! পশ্চিমাদের একের পর এক অবরোধ সত্ত্বেও ইরানে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সংবাদে অবাক না হয়ে পারলাম না। আবার এটাও স্বাভাবিক যে, একটা স্বাধীনচেতা জাতির অদম্য ইচ্ছা শক্তির জয় হয়েছে এই ঘটনায়।
‘নূরা’ নামে আরেকটি করোনা ভ্যাকসিন উন্মোচন করেছে ইরান। ইরানের বাকিয়াতুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সাইন্স ভাক্সিনটি তৈরি করেছে। সম্প্রতি এই টিকার মোড়ক উন্মোচন হয়।
এর আগে গত ১৪ জুন ইরান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলার জন্য দেশে তৈরি ‘কোভ-ইরান বারেকাত’ টিকার জরুরি ব্যবহার শুরু করেছে। এই ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপে করোনায় ৯৩.৫% সুরক্ষা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের ১২টি দেশ 'কোভ-ইরান বারকাত' ভ্যাকসিন নিতে আবেদন জানিয়েছে।
এছাড়াও চলতি সপ্তাহ থেকে ইরান এবং কিউবার যৌথভাবে তৈরি ‘পাস্তুর’ টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরপর আসছে ‘রাজি’ এবং ‘ফাকরা’ টিকা। রাজি হচ্ছে ইরানে উৎপাদিত করোনাবিরোধী দ্বিতীয় ভ্যাকসিন যা ইরানের রাজি ও সিরাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে উৎপাদন করেছে। আর ‘ফাখরা’ ভ্যাকসিন উৎপাদন করেছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা কেন্দ্র।
ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাঈদ নামাকি বলেন, এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে সবচেয়ে কম খরচ হচ্ছে এবং এর পার্শপ্রতিক্রিয়া খুবই কম। অন্যদিকে, এটি সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে করেনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এ পর্যন্ত রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইরান কোভিড -১৯ এর টিকা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ হিসেবে এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এই উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্যে ইরানের প্রতি রইল মোবারকবাদ।
একের পর এক ভ্যাকসিন তৈরি করে পশ্চিমাদের অবরোধকে আশির্বাদে পরিণত করেছে ইরানিরা। যারা নিশেধাজ্ঞা দিয়ে অচল করে দিতে চেয়েছিল, তারা আজ ইরানের সাফল্যে অবাক হয়ে গেছে। একটা স্বাধীনচেতা জাতিকে যে কোনভাবেই দমিয়ে রাখা যায় না তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ইরান।
হাজার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এগিয়ে যাও হে ইরান আর পথ দেখাও বিশ্ব মানবতাকে। নিপীড়িত, নির্যাতিত মুস্তাজাফ জনতার প্রেরণার উৎস হয়ে পাশে থেকো।
শুভেচ্ছান্তে
এস এম নাজিমুদ্দিন
মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।