আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির কি আদৌ প্রয়োজন ছিল?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i151600-আফগানিস্তানে_মার্কিন_সামরিক_উপস্থিতির_কি_আদৌ_প্রয়োজন_ছিল
পার্সটুডে- একটি আমেরিকান সংস্থা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে।
(last modified 2025-09-03T11:51:02+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৫ ১৫:২৮ Asia/Dhaka
  • আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির কি আদৌ প্রয়োজনীয় ছিল?
    আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির কি আদৌ প্রয়োজনীয় ছিল?

পার্সটুডে- একটি আমেরিকান সংস্থা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে।

এই মার্কিন সংস্থা রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফ্ট সম্প্রতি রোজমেরি কেলানিকের একটি প্রবন্ধে লিখেছে: ২০২১ সালের ৩০শে আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর চার বছর কেটে গেছে। এই প্রত্যাহার ছিল প্রায় ২০ বছর ধরে স্থায়ী একটি দখলদারিত্বের সমাপ্তি, যা সামরিক মিশনের অবিরাম সম্প্রসারণের একটি উদাহরণ হতে পারে। পার্সটুডে অনুসারে, ২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে আল কায়েদাকে ধ্বংস করার জন্য সীমিত আকারে সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করা হলেও তা একটি সীমাহীন অভিযানে পরিণত হয়েছিল যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল। এই বছরগুলোতে, ২,৩৩৪ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল এবং ২০,০০০ এরও বেশি আহত হয়েছিল।

আফগানিস্তানে মার্কিন নীতিগুলো "জাতি গঠন" এবং গণতন্ত্রীকরণের মতো কথিত শ্লোগানের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যেখানে পশ্চিমাদের থেকে সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল, যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। এ কারণেই এই মার্কিন নীতি বা শ্লোগানগুলো আফগানিস্তানের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে এমন জটিল প্রকল্পগুলোতে জড়িত হয়ে পড়ে যা কেবল ব্যর্থই হয়নি বরং প্রচুর মানবিক ও আর্থিক ক্ষতিও ডেকে আনে।

কিন্তু মার্কিন নীতিনির্ধারকরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সামরিক উপস্থিতিকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও বহু আলামত থেকে বোঝা যায় যে তারা যে কথিত হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার দাবি করছেন তা সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য এটি খুবই শিক্ষণীয় হতে পারে। এই কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ইরাকে তার মিশন শেষ করতে পারে এবং ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সেই দেশ থেকে সমস্ত (২,৫০০) সেনা প্রত্যাহার করতে পারে।

এই বিশ্লেষণ সিরিয়া এবং আফ্রিকার ১০টিরও বেশি দেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের যুক্তিকেও আরও জোরদার করে। এ থেকে বোঝা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এই অঞ্চলগুলোতে তার উপস্থিতি হ্রাস করা।

পরিশেষে, এটা বলা যেতে পারে যে অন্যান্য দেশে সামরিক উপস্থিতির জন্য মার্কিন নীতিগুলো অগ্রাধিকারযোগ্য প্রকৃত নিরাপত্তা বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এই ভুলগুলোর কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু যে তার প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয় একইসাথে একটি অন্তহীন এবং অকার্যকর যুদ্ধে তার অনেক সম্পদ এবং বাহিনী নষ্ট করেছে। এই অভিজ্ঞতার আলোকে একই ধরণের সংকটে ভবিষ্যতে মার্কিন নীতিগুলোর পুনর্মূল্যায় করা উচিত।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।