বিক্ষোভ-সহিংসতায় আবারও উত্তপ্ত ভূস্বর্গ কাশ্মির! শান্তি কতদূর!
https://parstoday.ir/bn/radio/world-i16162-বিক্ষোভ_সহিংসতায়_আবারও_উত্তপ্ত_ভূস্বর্গ_কাশ্মির!_শান্তি_কতদূর!
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গণ-বিক্ষোভ আবারও জোরদার হয়ে উঠেছে। জম্মু-কাশ্মিরে চলমান পরিস্থিতিতে বনধের মেয়াদ ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
(last modified 2025-12-13T07:38:09+00:00 )
আগস্ট ০১, ২০১৬ ১৮:৫৫ Asia/Dhaka
  • বিক্ষোভ-সহিংসতায় আবারও উত্তপ্ত ভূস্বর্গ কাশ্মির! শান্তি কতদূর!

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গণ-বিক্ষোভ আবারও জোরদার হয়ে উঠেছে। জম্মু-কাশ্মিরে চলমান পরিস্থিতিতে বনধের মেয়াদ ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

কাশ্মিরে আন্দোলনকারী নেতারা বনধের মেয়াদ বৃদ্ধি করায় এবং সেখানে কারফিউসহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে।  আজ (সোমবার) অনন্তনাগ জেলায় কাজিগান্দ এলাকায় শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কে সিআরপিএফ জওয়ান এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, মুস্তাক আহমেদ শাহ নামে ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি পেলেটগানের ছররা গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সিআরপিএফ জওয়ানও আহত হয়েছেন। আহতদের সকলকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।  রাজ্যটিতে কারফিউ এবং বনধ এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আজ (সোমবার) ২৪তম দিনে পৌঁছেছে। 

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কাশ্মিরের সাম্প্রতিক অশান্তির জন্য মূলত পাকিস্তানই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন। কাশ্মিরের ব্যাপারে পাকিস্তান দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। নয়াদিল্লি ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে আগের চেয়েও বেশি সংযত আচরণ করতে এবং গণ-বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রাণঘাতী নয়-এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে বলে তিনি জানান। 

ওদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ ভারতের অভিযোগগুলো নাকচ করে দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব, নিরাপত্তা পরিষদ-প্রধান, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি তার ভাষায় কাশ্মিরিদের ওপর ভারতীয় সেনাদের গণহত্যা ঠেকানোর দাবি জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। সারতাজ আজিজ লিখেছেন, ভারতীয় সেনারা কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এবং এ বিষয়ে বিশ্ব-সমাজের নীরব থাকা উচিত হবে না।   কাশ্মিরি নানা দল ও গোষ্ঠীও প্রতিবাদীদের সঙ্গে সীমান্তের বাইরের সম্পর্ক থাকার ভারতীয় অভিযোগের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মজলুম জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ধর্মঘট ও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।  

ব্রিটেনের দৈনিক গার্ডিয়ান লিখেছে, ভারতীয় সেনারা ইচ্ছা করেই প্রতিবাদী কাশ্মিরি যুবকদের অন্ধ করে দিচ্ছে

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী জোট হুররিয়াত কনফারেন্সের তিন শীর্ষস্থানীয় নেতা সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক ও মুহাম্মাদ ইয়াসিন মালিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতীয় সেনাদের দমন-পীড়নের কারণেই কাশ্মিরে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। কাশ্মিরে সাম্প্রতিক গণ-বিক্ষোভ ও ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস দমন অভিযানে সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত ৫০ ব্যক্তি নিহত হয়েছে।  

সম্প্রতি একজন স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরি গেরিলা-নেতা ভারতীয় সেনাদের হাতে নিহত হওয়ার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। সংগ্রামী এই কাশ্মিরি যুব-নেতার নাম বোরহান ওয়ানি। অনন্তনাগ এলাকায় জুমার নামাজ আদায় করতে এলে ভারতীয় সেনারা ওই এলাকা ঘেরাও করে এবং ওয়ানি ও তার দুই সঙ্গীকে হত্যা করে। হিজবুল মুজাহিদিন নামক দলের এই নেতাকে গ্রেফতারের জন্য ভারতীয় পুলিশ ১৫ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। কাশ্মিরি যুবকদের মধ্যে ওয়ানির ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখা গেছে।

ভারত সরকার হিজবুল মুজাহিদিনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে এবং এই গোষ্ঠীর সেনা কমান্ডার ওয়ানি হত্যার ঘটনাকে নয়াদিল্লির জন্য বড় ধরনের বিজয় বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে ওয়ানির লাশ দাফন ও তার জন্য শোক প্রকাশের সমাবেশও রূপ নেয় ভারত-বিরোধী গণ-বিক্ষোভে। হুররিয়াত নেতারা মনে করেন নয়াদিল্লি কাশ্মিরি জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় এবং ভারত সরকার কেবল সামরিক শক্তির জোরে এ অঞ্চলে নিজ নীতিগুলো বাস্তবায়ন করতে চায়। 

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গত ৯ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন কাশ্মিরি এবং আহত হয়েছে তিন হাজার। ব্রিটেনের দৈনিক গার্ডিয়ান লিখেছে, ভারতীয় সেনারা ইচ্ছা করেই প্রতিবাদী কাশ্মিরি যুবকদের অন্ধ করে দিচ্ছে। অথচ এসবের কোনও বিচার হচ্ছে না। 

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের জনগণ বর্তমানে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। সেখানে সমাবেশ ও এমনকি শোক পালনেরও অনুমতি দিচ্ছে না ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ভারত সরকারের প্রতি কাশ্মিরিদের ক্ষোভ ও ঘৃণা ক্রমেই বাড়ছে এবং তারা যে কোনো সুযোগ বা অজুহাতে প্রকাশ্যেই এই ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছে   বলে কাশ্মিরি নেতারা মনে করছেন। 

ভারত সরকার এই উত্তাল গণ-বিক্ষোভ ও দমন-পীড়নকে বিশ্ববাসীর কাছে যথাসম্ভব গোপন রাখার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বহু সংবাদপত্র এবং সংবাদ প্রকাশের ওপর আরোপ করেছে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা। এ ছাড়াও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মিরে কারফিউ বা সান্ধ্য আইনও জারি রেখেছে বহু দিন ধরে। সেখানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে টেলিভিশনের অনুষ্ঠানমালা, ইন্টারনেট ও টেলিফোন নেটওয়ার্ক। কাশ্মিরে নৃশংস দমন অভিযানের খবর প্রচার করা হলে সেখানে গণ-বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। হুররিয়াত নেতাদের ডাকে গত ২০ জুলাই কাশ্মিরে পালিত হয় কালো দিবস। একই দিনে কাশ্মিরিদের প্রতি সংহতি দেখিয়ে আজাদ কাশ্মিরসহ পাকিস্তানের নানা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় মিছিল ও নানা সমাবেশ। হুররিয়াত নেতারা প্রতিদিন মাগরিব ও এশার নামাজের পর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে কাশ্মিরিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরি গেরিলা-নেতা বোরহান ওয়ানির লাশ নিয়ে শোক মিছিল। ইনসেটে প্রতিবাদীদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ  

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে জরুরি অবস্থা ও ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা বহাল থাকায় এই বাহিনী হত্যা ও ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে নিরপরাধ কাশ্মিরিদের ওপর।  এই বাহিনীর ওপর নজরদারিরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ভারত সরকার।ভারত সরকার তার ভাষায় কাশ্মিরে হস্তক্ষেপ ও গণ-অসন্তোষের উস্কানি বন্ধ করতে এবং সন্ত্রাসীদের মদদ না যোগাতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তান এই দাবি নাকচ করে দিয়ে বলছে, ইসলামাবাদ স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরিদের কেবল নৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে।ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে মুসলমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই ১৯৪৭ সালের ভারত-বিভাগ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাশ্মির পাকিস্তানের অংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু কাশ্মিরের তৎকালীন শাসক গোলাব সিং কাশ্মিরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার পদক্ষেপ নেন। ফলে কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কাশ্মিরিদের বেশিরভাগই ভারতের অংশ হয়ে থাকতে চায় না। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই  ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে পাকিস্তানেরও অংশ করতে রাজি নন। বরং তারা স্বাধীন কাশ্মির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী।

১৯৪৮ সালে কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে লিপ্ত হয়। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ওই যুদ্ধ বন্ধ হয়। ভারত সে সময় কাশ্মিরের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অবাধ গণভোট অনুষ্ঠানের কথা দিয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ থামার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া সেই গণভোটের প্রস্তাবটি কখনও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি ভারত।  পাকিস্তান বর্তমানে কাশ্মিরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। আর প্রায় দুই তৃতীয়াংশ রয়েছে ভারতের দখলে। কাশ্মিরের মালিকানা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৬৫ সালেও একটি বড় যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু ওই যুদ্ধের পরও কাশ্মির সংকটের সমাধান হয়নি। 

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মির বেশ কয়েকটি নদীর উৎস। আর কৌশলগত দিক থেকেও  এই অঞ্চল ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সহজেই তার নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির থেকে পিছু হটবে বলে মনে করা যায় না। ভারত তার নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মির ছাড়াও পাকিস্তান এবং চীনের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকেও তার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করছে। অন্যদিকে পাকিস্তান কাশ্মির ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিক সংকট বলে মনে করে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের আশা করছে। কাশ্মিরের জনগণও মনে করে কাশ্মির সংকটকে ফিলিস্তিন সংকটের মতই গুরুত্ব দেয়া উচিত। 

 ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সক্রিয় রয়েছে ২৬টি ছোট ও বড় রাজনৈতিক গোষ্ঠী এবং দল। এইসব দল ও গোষ্ঠী হুররিয়াত কনফারেন্স জোটের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই জোটের একাংশের নেতা হলেন ওমর ফারুক।  সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি হলেন অন্য অংশের নেতা। ভারত সরকার দাবি করছে তার নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী দলগুলোর সঙ্গে আইএসআইএল বা দায়েশ এবং আল-কায়দার মত গোষ্ঠীগুলোর সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি জম্মু ও কাশ্মিরের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক হওয়ার পর থেকে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা জোরদার হয়েছে। উগ্র হিন্দুরা যে-কোনোভাবে এ অঞ্চলের মুসলমানদের দুর্বল করতে চাইছে। তাই বলা যায় ভারতের নরেন্দ্র মোদির সরকারের জন্য কাশ্মির সংকটই সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু কাশ্মিরের চলমান সংকট দীর্ঘ দিন ধরে অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সমাজ ও গণমাধ্যমে এই ইস্যুটি যথেষ্ট মাত্রায় গুরুত্ব পাচ্ছে না।

 হুররিয়াত কনফারেন্স বলছে তারা কাশ্মিরে চলমান গণ-আন্দোলন বন্ধ করবে যদি দিল্লি তাদের কিছু শর্ত মেনে নেয়। এসব শর্ত হল: ভারত সরকারকে স্বীকার করতে হবে যে জম্মু ও কাশ্মির বিরোধপূর্ণ অঞ্চল এবং কাশ্মিরি জনগণই এ অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারক।  এ ছাড়াও কাশ্মিরের ঘন-বসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে তুলে নিতে হবে সামরিক আইন ও জরুরি অবস্থা এবং বাতিল করতে হবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা ও মুক্তি দিতে হবে সব রাজবন্দিকে। আর এসবের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে তৎপরতা চালানোর সুযোগ দিতে হবে এবং কাশ্মিরের সব দলকে অবাধে তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেয়ার লক্ষে সম্পূর্ণ মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।  #

পার্সটুডে/মু.আ. হুসাইন/১