'রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস ও মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করা হবে'
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i112538-'রোহিঙ্গা_ক্যাম্পে_সন্ত্রাস_ও_মাদক_নিয়ন্ত্রণে_প্রয়োজনে_সেনাবাহিনী_ব্যবহার_করা_হবে'
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করা হবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ২৮, ২০২২ ২০:২১ Asia/Dhaka

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করা হবে।

একইসঙ্গে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদীতে মাছ ধরা ট্রলারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৫ম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তাগন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আমরা মাঝে মধ্যেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করছি। বিনা কারণে রক্তপাতও দেখছি। মাঝে মধ্যে মিয়ানমার থেকে মাদকের আনাগোনাও লক্ষ্য করছি। এটার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে তথ্যভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, সেসব অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার তো আছেই; যদি প্রয়োজন হয় সেখানে আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হবেন। ওখানে এপিবিএন কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ও বাস্তবতার নিরিখে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার, পুলিশ,এপিবিএন- যৌথভাবে ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে অভিযান পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন আমাদের এখানে অবস্থান করার কারণে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। বারবার প্রচেষ্টার পরেও তাদের দেশে যাওয়ার যে প্রক্রিয়াটা তাদের অনীহার কারণে শুরু করতে পারিনি। তারপরও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝে মধ্যেই রক্তপাত দেখছি, সন্ত্রাস দেখছি।’ ‘অস্ত্র দ্বারা তারা রক্তপাত করছে, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। এগুলো কোথা থেকে আসে কীভাবে আসে এ নিয়ে তথ্য প্রকাশ করবো শিগগির। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতার নিরিখে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যৌথভাবে ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাইরে টহল ও অভিযান পরিচালনা করবে। ক্যাম্পের ভেতরে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সেগুলো কেন হচ্ছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি, পাশাপাশি আরও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ক্যাম্পের চতুর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন যেটা চলছিল, সেটা প্রায় শেষের দিকে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টহল রাস্তা কিছুটা বাকি আছে, শেষের দিকে। ওয়াচটাওয়ার সেখানে হবে। তারা যেন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকে সে ব্যবস্থা আমরা করছি। ক্যাম্পের ভেতরে জন্মনিরোধের জন্য একটি বাসবসম্মত কৌশল প্রনয়নের কাজ চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ইসলামি ফাউন্ডেশন এ নিয়ে কাজ করছে। ঘরে ঘরে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন এবং সচেতন করছেন। মসজিদের ইমাম ও এনজিওরাও এ বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা মিয়ানমারের মোবাইল ব্যবহার করে, এতে আমরা ক্রিমিনালদের শনাক্ত করতে পারছি না। আমরা যেটা চাচ্ছি তারা যেন আমাদের দেশি মোবাইল ব্যবহার করে। প্রয়োজনবোধে আমরা যেভাবে মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করি সেভাবেই করবো।#

 

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।