ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি, উদ্বিগ্ন নগরবাসী
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i123758-ঢাকায়_ডেঙ্গুর_প্রকোপে_মৃত্যুর_ঘটনা_বৃদ্ধি_উদ্বিগ্ন_নগরবাসী
রোগ-শোক, দুর্যোগ আর দুর্বিপাক ছায়ার মতই সঙ্গী উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিভিন্ন ভবন ধস, আগুনের ঘটনা যেতে না যেতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলার প্রস্তুতি। এর বাদেই আবার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ২৯, ২০২৩ ১৬:৫০ Asia/Dhaka

রোগ-শোক, দুর্যোগ আর দুর্বিপাক ছায়ার মতই সঙ্গী উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বাংলাদেশের। বিভিন্ন ভবন ধস, আগুনের ঘটনা যেতে না যেতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলার প্রস্তুতি। এর বাদেই আবার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই ডেঙ্গু রোগীর ভিড় বাড়ছে বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে। গত বছর ২৩ মে পর্যন্ত ২৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর একই সময়ে তা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে গত বছর ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু না হলেও এ বছর ইতোমধ্যে ১৩ জন মারা গেছেন। এ অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ২৬ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৬২৪ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে এক হাজার ৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৫৭৮ জন। এরমধ্যে চলতি মাসের ২৬ দিনে ৬৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত পাঁচ বছরের মে মাসে সর্বোচ্চ। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার বাসিন্দারা। দেশের মোট শনাক্তের ৬২ শতাংশই এ সিটিতে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তরে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার। এরপরই রয়েছে কেরানীগঞ্জ, কাজলা, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মুগদা ও জুরাইন। এ বছরের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ও রোগের ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্লেষ তুলে ধরেছেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার নিয়াতুজ্জামান।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণহীন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নিধন কর্মসূচি সারা বছর অব্যাহত রাখতে হবে।   তবে বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। কারণ এ মশাগুলোর সৃষ্টি বিভিন্ন ঘর থেকে।  এ বছর ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বিশেষ করে অপরিকল্পিত নগরায়ন, পানি প্রবাহের সিস্টেম এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এ বছর এডিস মশার ঘনত্ব বেশি দেখা যাচ্ছে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হওয়ায় জ্যামিতিক হারে রোগী বাড়ছে।

গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচগুণ বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিভিন্ন হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া আছে। হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড এবং আলাদা কর্নার তৈরি করা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আড়াইহাজার ডাক্তার এবং নার্সকে ট্রেনিংও দেয়া হয়েছে। সুতারং দুশ্চিন্তা না করে সবাইকে সাবধান সচেতন ও সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।#

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২৯