সরকারের বাধার কারণে গণস্বাস্থ্যের কিট বাজারে আসতে পারেনি: ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i80199-সরকারের_বাধার_কারণে_গণস্বাস্থ্যের_কিট_বাজারে_আসতে_পারেনি_ঐক্যফ্রন্টের_অভিযোগ
করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের পরীক্ষায় সরকারের ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বাধার কারণে এটি বাজারে আসতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি। পাশাপাশি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার খবরে এই জোট উদ্বেগ প্রকাশ করে তার সুস্থতা কামনা করেছে।
(last modified 2025-11-11T14:44:42+00:00 )
মে ২৬, ২০২০ ২০:০৫ Asia/Dhaka
  • ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
    ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের পরীক্ষায় সরকারের ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বাধার কারণে এটি বাজারে আসতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি। পাশাপাশি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার খবরে এই জোট উদ্বেগ প্রকাশ করে তার সুস্থতা কামনা করেছে।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বিবৃতিতে সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেছে।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী।

ঐক্যফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনা শনাক্তকরণ কিটের জন্য অনেক বেশি কাজ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সরকার পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে এখনো কিটটি বাজারে আসতে দেয়নি। দেশে সামাজিকভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার এই সময়ে সরকারি টেস্টের চরম অপ্রতুলতার মধ্যে এই কিট জনগণকে খুবই সাহায্য করতে পারত।’ কিটের কার্যকারিতার ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করার দাবি জানায় এই জোট।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

'ঔষধ প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবেই করোনার পরীক্ষা করতে আগ্রহী নয়'

এদিকে, আলাদা এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিট যখন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ট্রায়াল পরীক্ষা হচ্ছিল, সেই সময়ে হঠাৎ করেই সরকারের ঔষধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার ট্রায়াল স্থগিত করে দিয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ঔষধ প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবেই করোনার পরীক্ষা করতে আগ্রহী নয়। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা কিট পরীক্ষার সমাধান হোক।’

ইতোমধ্যে গতকালই গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিটের পরীক্ষায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির মহাসচিব তার সুস্থতা কামনা করেছেন। ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, ‘আমরা আশা করি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসুস্থতা মৃদু উপসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। কিন্তু এই রোগ কতটা ভয়ংকর হতে পারে, সেটা আমরা সারা পৃথিবীতে এবং এই দেশেও দেখছি। তার বয়স এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা বিবেচনায় নিলে তিনি নিশ্চিতভাবেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রোগী হিসেবেই চিহ্নিত হবেন।’

করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানারকম অনিয়ম হচ্ছে- উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য দেশের সর্বোচ্চ মানের হাসপাতালে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং এখন পর্যন্ত সর্বস্ব দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া মানুষটির এইটুকু মনোযোগ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রাপ্য।’#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।