শেখ নাঈম কাসেম হিজবুল্লাহর নতুন মহাসচিব নির্বাচিত
https://parstoday.ir/bn/news/event-i143164-শেখ_নাঈম_কাসেম_হিজবুল্লাহর_নতুন_মহাসচিব_নির্বাচিত
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর উপ-মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম দলের নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ গত মাসে দক্ষিণ বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় শহীদ হওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য ছিল।  
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ ১৭:২২ Asia/Dhaka
  • শেখ নাঈম কাসেম
    শেখ নাঈম কাসেম

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর উপ-মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম দলের নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ গত মাসে দক্ষিণ বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় শহীদ হওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য ছিল।  

নাসরুল্লাহ শহীদ হওয়ার পর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিল প্রধান হাশেম সাফিঊদ্দিনের নাম বিবেচনায় ছিল। তবে তিনিও ইসরাইলি হামলায় শহীদ হওয়ায় নতুন মহাসচিব বেছে নিতে হয় হিজবুল্লাহকে।

আজ (মঙ্গলবার) ৬০ বছর বয়সী শেখ নাঈম কাসেমকে নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করে হিজবুল্লাহর শুরা কাউন্সিল। পরে এক বিবৃতিতে শুরা কাউন্সিল বলেছে, "হিজবুল্লাহর নীতি ও লক্ষ্য-আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্যের কারণেই শেখ নাঈম কাসেমকে মহাসচিব পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।" 

হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শেখ নাঈম কাসেম ১৯৯১ সাল থেকে সংগঠনের উপ-মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি হিজবুল্লাহর তৎকালীন মহাসচিব আব্বাস আল-মুসাভির সময় উপ-মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। মুসাভি ১৯৯২ সালে ইসরাইলি হেলিকপ্টার হামলায় শহীদ হলে হাসান নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহ নতুন নেতা নির্বাচিত হন। তার ৩২ বছরের দায়িত্বকালেও নাঈম কাসেম উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আমাল আন্দোলনে যোগদানের মাধ্যমে নাঈম কাসেমের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর তিনি আমাল আন্দোলন ত্যাগ করেন। পরে ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

শেখ নাঈম কাসেম ১৯৫৩ সালে বৈরুতের বাস্তা তাহতা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে কিফার ফিলা গ্রামে বেড়ে ওঠেন।

২০০৬ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর হাসান নাসরুল্লাহসহ হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ সিনিয়র নেতা প্রকাশ্যে আসা বন্ধ করলেও নাঈম কাসেম নিয়মিত জনসম্মুখে এসে বক্তব্য রেখেছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ শহীদ হওয়ার পর তিন বার জনসম্মুখে এসে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

শেখ কাসেম দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লাহর অন্যতম প্রধান মুখপাত্র হিসেবে বিদেশি গণমাধ্যমের সাথে অনেক সাক্ষাতকার দিয়েছেন। তিনি ২০০৫ সালে হিজবুল্লাহর ইতিহাস নিয়ে একটি বই লিখেছেন। বইটির ইংরেজি নাম 'Hizbullah (Hezbollah): The Story from Within'. এর বাইরেও তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন।# 

পার্সটুডে/এমএআর/২৮