ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বাণী
ইমাম হুসাইনের প্রতি অনন্য ভালবাসা এবং ইরাকি জাতির ইসলামী ও আরবীয় মর্যাদা
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা, ইমাম খামেনি, একটি বার্তায় ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাইন পালনের পদযাত্রায় শরিকদের প্রতি শোক পালন ও সেবা প্রদান কেন্দ্রের তথা মউকিবদের মালিকদের এবং ইরাকের মহান জাতি কর্তৃক প্রদত্ত আতিথেয়তা ও নানা সেবার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইসলামী বিপ্লবের নেতা এ উপলক্ষে যে বার্তা দিয়েছেন তা এখানে তুলে ধরছি:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (পরম করুণাময় ও অশেষ দাতা আল্লাহর নামে)
প্রথমেই আমি হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমার নিজের পক্ষ থেকে ও মহান ইরানি জাতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ধন্যবাদ জানাচ্ছি জিয়ারতকারীদের সেবা-কেন্দ্রগুলো তথা মউকিবগুলোর মালিকদের যারা ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাইন পালনের পদযাত্রায় শরিক জিয়ারতকারীদের প্রতি সর্বোচ্চ মাত্রায় মহানুভবতা, দয়া ও সৌহার্দ দেখিয়েছেন; আমি সমগ্র মহান ইরাকি জাতির প্রতি এবং ইরাক সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতিও ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন, পরিবেশ গড়েছেন ও পটভূমি গড়ে তুলেছেন; বিশেষ করে ইরাকের মহান আলিম ও বরেণ্য মারজাবর্গকেও (ব্যাপক অনুসারীর অধিকারী ইসলামী আইনবিদ) ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা জিয়ারতের পরিবেশ, জনগণের মধ্যে ও এই দুই জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ গড়ে তুলেছেন। সত্যিকার অর্থেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ জরুরি।
আপনারা ইরাকি ভায়েরা ইমাম হুসাইনের পবিত্র মাজারের উদ্দেশে যাত্রা পথে জিয়ারতকারীদের জন্য গড়ে তোলা সেবা-যত্নের নানা স্টল বা মউকিব থেকে তাদের প্রতি যেসব আচরণ করেছেন তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ছাড়াও আপনারা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ও কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার জন্য যা যা করেছেন সেসবও বর্তমান অনিরাপদ বিশ্বে অত্যন্ত বড় কাজ এবং নজিরবিহীন।
আপনারা ইসলামী মহানুভবতা ও আরব মহানুভবতা দেখিয়েছেন আচরণ ও নানা কাজের মাধ্যমে। আর আপনারা এই-সবই করেছেন শহীদদের নেতার (তাঁর ওপর শান্তি বর্ষণ হোক) প্রতি ভালোবাসার কারণে। হুসাইন ইবনে আলীর প্রতি এই ভালবাসা খুবই ব্যতিক্রমধর্মী। এই ভালোবাসার মত ভালোবাসা অন্য কোথাও ও কোনো সময়ই দেখা যায়নি। আমি আশা করছি মহান আল্লাহ এই ভালোবাসা বা ইশক্কে আপনাদের ও আমাদের অন্তরে দিনকে দিন বাড়িয়ে দিবেন। আজ ভালোবাসার এই আকর্ষণের পরিধি এমন বিস্তার লাভ করেছে যে গাজার মহাউদ্দীপনাময় ভূখণ্ড ও অনেক অমুসলিম সমাজও এর মধ্যে শামিল হচ্ছে; আলহামদুলিল্লাহ ( আল্লাহর শুকর তথা সকল প্রশংসা আল্লাহর)।
সাইয়্যেদ আলী হুসাইনি খামেনেয়ি
১৪৪৬ হিজরির মহাকল্যাণময় সফর মাস
[উল্লেখ্য মহানবীর (সা) ছোট নাতি ইমাম হুসাইন (আ.) ছিলেন মহান আল্লাহর মনোনীত একজন নিষ্পাপ ইমাম তথা মুসলিম জাতির অন্যতম ঐশী নেতা। মহানবীর ওফাতের ৫০ বছর পর তিনি নানা দুরাচার ও পাপাচারে অভ্যস্ত উমাইয়া শাসক ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার ক্ষমতায় আরোহণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এবং কুরআনে বর্ণিত সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে গিয়ে ওই কুলাঙ্গারের নির্দেশে শহীদ হন তার ৭২ জন সঙ্গীসহ। তারা ইয়াজিদের আনুগত্য করতে অস্বীকার করায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হলে এবং পানি-অবরোধসহ সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যেও মহাবীরত্বের সঙ্গে প্রায় ত্রিশ হাজার সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হন।]
পার্সটুডে/এমএএইচ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।