তুরস্কের উসকানিতে সিরিয়া বিষয়ক বৈঠকে যোগ দেয়নি বিদ্রোহীরা

কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সিরিয়া বিষয়ক তৃতীয় বৈঠক শুরু হলেও সিরিয়ার কথিত বিদ্রোহী গ্রুপগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে বৈঠক বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

ইরান রাশিয়ার সহযোগিতায় সিরিয়া সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালালেও বিদ্রোহীরা বৈঠক বর্জন করায় কিছুটা হোঁচট খেয়েছে আলোচনার ভবিষ্যত। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আস্তানা বৈঠকে না আসায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা এর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোতে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা হঠাৎ করেই বৈঠকে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনার পর সিরিয়ার প্রধান আলোচক বাশার আল জাফরি অভিযোগ করেছেন, সিরিয়া সমস্যা সমাধানের জন্য কাজাখস্তান বৈঠকের সফলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে তুরস্ক এবং আঙ্কারার কুপরামর্শেই বিদ্রোহীরা এ বৈঠক বর্জন করেছে।

রাজনৈতিক উপায়ে সিরিয়া সমস্যা সমাধান করাই ছিল কাজাখস্তান বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য। সিরিয়া বিষয়ক ঘটনাবলীতে প্রমাণিত হয়েছে, রাজনৈতিক উপায়ে সিরিয়া সমস্যা সমাধানের চেষ্টা যখনই সফলতার মুখ দেখে ঠিক তখনই কোনো কোনো মহল এ সফলতাকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এবারের বৈঠকে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অনুপস্থিতিও ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তবে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ষড়যন্ত্র সত্বেও কাজাখস্তানে সিরিয়া বিষয়ক বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। প্রতিকুল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া সত্বেও সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা থেকে বোঝা যায় আস্তানা বৈঠকের গুরুত্ব এখনো হারিয়ে যায়নি। বরং সিরিয়া সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে ইরান এ ক্ষেত্রে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সিরিয়া সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের চেষ্টার প্রতিও সমর্থন জানানোর পাশাপাশি দেশটির নিরাপত্তা, সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ও মানবিয় দিকের প্রতি ইরান বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইরান সিরিয়ার ব্যাপারে গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়ায় এবং সেদেশের ভাগ্য জগণের ওপর ছেড়ে দেয়ার প্রতি সমর্থন জানানোয় ও সেই সাথে সিরিয়ার বৈধ সরকারের প্রতি সমর্থন দেয়ায় ইরান এ অঞ্চলের রাজনীতিতে প্রভাবশালী পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ায় সিরিয়া ইস্যুতে ইরানের ইতিবাচক ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়েছে। #       

পার্সটুডে/মো. রেজওয়ান হোসেন/১৫