জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জরুরী
ঘাপটি মেরে অনলাইন প্লাটফর্মে চলছে জঙ্গি কার্যক্রম; সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন জঙ্গি সংগঠন কিংবা জঙ্গিগোষ্ঠির তৎপরতা চোখে না পড়লেও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাচ্ছে এসব সংগঠনগুলো। বরংচ তাদের নিরবতা বড় ধরনের শংকা তৈরী করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মাঝে।
তবে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন, জঙ্গিরা চুপ করে বসে নেই। জঙ্গিবাদ শেষ হয়ে গেছে এমনটি ভেবে নিশ্চিন্ত হওয়ারও কিছু নেই। জঙ্গিরা সোশাল
মিডিয়ায় ভয়াবহভাবে সক্রিয় তা এটিইউর সাইবার অনলাইন পেট্রোলিংয়ে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন,অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম, কীভাবে একজন তরুণ না বুঝেই জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে, জঙ্গিবাদে জড়ানোদের বিপদ, ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার কোন বিকল্প নাই।
এটিইউ’র ডিআইজি (অপারেশন্স) মনিরুজ্জামানের মতে, রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব নয়। এখানে দরকার কোর্ডিনেশন, জনগণের অংশগ্রহণ, গণমাধ্যমের নিরবচ্ছিন্ন সহায়ক ভূমিকা। আমাদের ডেটা সিস্টেমটা অনেক বেশি আপডেট থাকা দরকার। কারণ উগ্রবাদে যারা জড়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা কঠিন। তাই আগে ভাগেই সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আর চিহ্নিত
জঙ্গিরা অনেকে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। কারন , ঢাকার একটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ২ জঙ্গিকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার ৩ মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমনকি এখন পর্যন্ত তাদের হদিসও পায়নি পুলিশ। নিরাপত্তার ফাঁকফোকর ও জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে দেরি হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন জঙ্গিহামলায় নিহতদের পরিবার। এ বিষয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলছেন, এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আগে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করা হলেও এখন জঙ্গিমতবাদে জড়াচ্ছেন অনেকেই। যা আরো বেশি উদ্বিগ্ন করছে সমাজকে। #
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/বাবুল আখতার/২১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।