নীতিমালা চাইছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন
গরুর মাংশের বিক্রি কমেছে, দাম বৃদ্ধির কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খামারীরা
গরুর মাংসের বেচাকেনা নিয়ে কেউ খুশি নন। চড়া দামের কারণে দিনে একটি পশু বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। একই কারণে খাবারের তালিকা থেকে গরুর মাংস বাদ দিয়েছেন অনেকে। তার মানে সমাধান একটাই, দাম কমানো। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, কর্পোরেট সিন্ডিকেট আর হাটে চাঁদাবাজি না থামলে কোনো লাভ হবে না।
অন্যদিকে, খামারিরা গরুর মাংসের খুচরা দাম বেঁধে দেয়ার পক্ষে। ভোক্তা কমেছে গরুর মাংসের, বিপাকে ব্যবসায়ীরা |
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) দেশে মাংস উৎপাদনের উদ্বৃত্তের হিসাব দিলেও বাস্তবতা হলো, বাজারে মুরগি, খাসি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তাই মাংসের উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।
ডিএলএসের তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মাংসের উৎপাদন ছিল ৮৭ দশমিক ১০ লাখ টন। তখন চাহিদা ছিল ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ লাখ টন। অর্থাৎ, উদ্বৃত্ত ছিল ১১ লাখ টন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায় দেখা যায়, উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও ঢাকার বাজারে ক্রেতাদের ব্রয়লার মুরগির মাংসের জন্য ১০ শতাংশ ও গরুর মাংসের দাম আগের বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
ডিএলএস কর্মকর্তা, পোল্ট্রি ব্রিডার ও গরুর খামারির ডিএলএসের উদ্বৃত্ত উত্পাদনের তথ্যকে সমর্থন করলেও মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে তারা পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও অন্যান্য কারণকে দায়ী করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যায়। আবার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হলে দাম বাড়ে। মাঠের চিত্র ভিন্ন। ঢাকার পলাশী কাঁচাবাজারে গরুর মাংশের দোকানী রুহুল আশিক বলছেন , বিক্রি কমেছে তাদের। অনেকে ব্যবসায় গুটিয়ে ফিরছেন অন্য আয়ে। আর খামারীরা বলছেন কর্পোরেট সিন্ডেকেটের কারনে আজ গরুর মাংশ খাতের এ অস্থিরতা। তবে দাম বৃদ্ধির কারনে নিত্য বাজার তালিকা থেকেও গরুর মাংশ কেনাকে কাটছাট করেছেন অনেক ক্রেতা।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসাইন বলেন, পশুখাদ্য, পরিবহন ও বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। তাই নীতিমালা প্রয়োজন এই খাতে। #
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/ববুল আখতার/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।